পাম অয়েল গাছ |
পাম ওয়েল গাছ একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। রোপণের ৩-৪ বছরের মধ্যে ফলন শুরু হয়। একটানা ৬০-৭০ বছর ফল দিয়ে থাকে। বছওে ৮-১০টি কাঁদি আহরণ করা যায়। একটি কাঁদিও ওজন ৪০-৮০ কেজি পর্যন্ত হয়। ঝড় জলোচ্ছাসে এই গাছ সহজে ক্ষতি হয় না। অন্যান্য গাছ থেকে ১০ গুণ বেশি অক্সিজেন দেয়।
কেন পামওয়েল চাষ করবেন
১) (এক একরে) পামওয়েল চাষে ঘওে বসেই মাসে লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। প্রতি গাছে মাসে ১,০০০/=টাকা আয় হয়।
২) একটি পরিবারের সারা বছরের তেলের চাহিদা পূরনের জন্য দুটি গাছই যথেষ্ট।
৩) একবার বিনিয়োগে ৬০-৭০ বছর আয়।
৪) কোটি কোটি টাকার তেল আমদানী বাঁচবে।
৫) দূষণমুক্ত পরিবেশ, অর্থনৈতিক মুক্তি, বেকারত্বেরও অবসান হয়।
পাম ওয়েল ফল
পাম ওয়েল চাষ পদ্ধতি ক্ষেত্র :
বাংলাদেশের সকল জেলাউ পামওয়েল চাষের উপযোগী। পাম চাষে বাংলাদেশ অচিরেই আরও সমৃদ্ধ হবে। দেশের সর্বত্র বিশেষ কওে অনাবাদী ও খালী জমিতে, রাস্তার পাশে, স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা, উপসনালয়ের খালি জায়গায়, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের খালি জায়গায়, বনভূমিতে পাম ওয়েল চারা রোপন করা যায়। ২০ ফুট দূরত্বে ২ফুট x ২ফুট x ২ফুট গর্ত কওে মাটির সঙ্গে
১) গোবর সার ৫-৭ কেজি
২) টি.এস.পি ১০০ গ্রাম
৩) এমওপি ৫০ গ্রাম মিশিয়ে চারা রোপণ করতে হয়।
পাম ওয়েল ফল ও তেল সংগ্রহ
পামওয়েল ফল থেকে হাতে ও মেশিনে তেল সংগ্রহ করা যায়। ফলগুলো পানিতে সিদ্ধ কওে চিপন দিলে তেল বের হয়। টঙ্গী মাজুখানে ইতিমধ্যে মিল স্থাপন হযেছে। ভবিস্যতে সমগ্র দেশেই ক্ষুদ্র ও বৃহৎ স্থাপন করা হবে।
সাবধানতা
১) অসাধু চারা বিক্রেতার চারা ক্রয় করলে ভূমি, অর্থ ও সময় নষ্ট হবে।
২) সফল গবেষকের চারা নিশ্চিত হয়ে জেনে শুনে বুঝে ক্রয় করুন।
0 Comments