সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

গরুর পুষ্টিকর খাবার হিসেবে হাঁস-মুরগির লিটার!

poultry litter as cattle feed

যারা একই সঙ্গে গরু ও মুরগির খামার করেন তাদের জন্য পোল্ট্রি লিটার একটা বড় আপদ। সবাই মূলত সার বা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন। 

কিন্তু জানেন কি, অনেক দেশে মুরগির লিটার গরুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের খামারিরা এটা করেন। অবশ্য সরাসির খাওয়ানো যায় না, বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। মনে রাখতে হবে এই ধরনের খাদ্য শুধু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের গরুকেই খাওয়ানো যায়।

পোল্ট্রি লিটার পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে পোল্ট্রি খামারি এবং গরুর মাংস উৎপাদনকারী উভয়েরই উপকার হয়। কারণ আধুনিক পোল্ট্রি খামারে যে বিপুল পরিমাণ লিটার বর্জ্য হিসেবে পাওয়া যায় সেগুলো নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আবার  রুমিন্যান্ট (গরু, ছাগল) ডায়েটে সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপাদান হলো প্রোটিন। পোল্ট্রি লিটার খাওয়ালে একটি একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপায় হয়, একইসঙ্গে গবাদিপশুকে কম খরচে প্রোটিন সরবরাহ করা যায়।

পোল্ট্রি লিটার খাওয়ানোর নিয়মকানুন

পোল্ট্রি লিটার খাদ্যদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এর ফলে চূড়ান্ত ভোক্তা পর্যায়ে সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনা করতে হবে। 

পোল্ট্রি লিটারকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো আইনকানুন বা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কোনো নির্দেশিকা নেই।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের খামারিদের বিভিন্ন সংগঠনের কিছু নির্দেশিকা আমরা এখানেও অনুসরণ করতে পারি: পোল্ট্রি লিটার ডেইরি খামার বা গরু জবাই করার কমপক্ষে ২১ দিন আগে খাওয়ানো উচিত নয়। এই নিষেধাজ্ঞার কারণ হলো পোল্ট্রি উৎপাদনে ব্যবহৃত কিছু ওষুধের অবশিষ্টাংশ পোল্ট্রি লিটারে মিশ্রিত থাকতে পারে।

পোল্ট্রি লিটার প্রক্রিয়াকরণ

হাঁস-মুরগির লিটারে রোগজীবাণু বা রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা ওষুধ বা অন্যান্য জীবাণুনাশক থাকতে পারে। এ কারণে লিটার গরুকে খাওয়ানোর আগে অবশ্যই প্রক্রিয়া করে নিতে হবে। নিচে লিটার প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:

আস্ত বা চপ করা (ছোট করে কাটা) ভুট্টা গাছ বা অন্যান্য রাফেজ (খড়) মিশিয়ে বায়ুরুদ্ধ (সিল) অবস্থায় রেখে দিতে হবে। গাঁজন (ফার্মেন্টেশন) এর অম্লতা (অ্যাসিডিটি) বাড়ায়, পিএইচের মাত্রা ৪.৭ বা এরও নিচে নামিয়ে আনে। অ্যাসিড লিটারে থাকা সব রোগজীবাণুকে মেরে ফেলে। 

ফার্মেন্টেশনের জন্য লিটারের আর্দ্রতা থাকতে হবে প্রায় ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ ওজন হিসেবে ১০০ কেজির মধ্যে ৬০ কেজি লিটার আর ৪০ লিটার পানি থাকতে হবে। আর মুরগির লিটার সাইলোতে (ড্রামও হতে পারে) ফিলিং করার সময় লিটার ও রাফেজের অনুপাত হতে হবে- ৭০:৩০।

আবার পিএইচের মাত্রা ৪.৭-এ কমাতে প্রোপিওনিক বা অ্যাসিটিক অ্যাসিড স্প্রে করা যেতে পারে। এটি গবাদি পশুদের জন্য একটি অতিরিক্ত শক্তির উৎসও হবে। এরপর মেশিনে পেলেট বানাতে হবে। পেলেট বানানোর সময় মেশিনে পোল্ট্রি লিটার এমন গরম হবে যে গরমেই সব রোগজীবাণু মরে যাবে।

আরেকটি পদ্ধতি হলো- ৬ থেকে ৮ ফুট উঁচু ঢিবি করে কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ ধরে স্টক করা। এতে লিটারের মধ্যে যে মাইক্রোবিয়াল প্রক্রিয়া শুরু হবে তাতে পোল্ট্রি লিটারের তামপাত্রা ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তারও বেশি হবে। এই তাপমাত্রা রোগজীবাণুকে মেরে ফেলে।

স্টকিং করার পদ্ধতি নিয়ে একটু বিস্তারিত আলাপ করা যাক। কারণ সবচেয়ে সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি।

পোল্ট্রি লিটার ৬ থেকে ৮ ফুট উঁচু স্তূপাকার করে রেখে দিতে হবে। এটি উপরের সিলিং পদ্ধতির মতোই একটি গাঁজন বা ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। উপযুক্ত স্টকিংয়ের জন্য  লিটারে ওজন অনুসারে কমপক্ষে ২০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকা উচিত। রেখে দিলে লিটারের স্তুপ ১৩০-১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে  উত্তপ্ত হবে। এতে লিটারে থাকা রোগজীবাণু মরে যাবে। 

তবে খেয়াল রাখতে হবে তাপমাত্রা যে ১৬০ডিগ্রির বেশি না ওঠে।  এর বেশি তাপমাত্রা যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটবে তাতে গরু লিটারের প্রোটিন সহজে হজম করতে পারবে না, বা হজমের হার কম হবে। 

এই রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যাকে মেইলার্ড (Maillard) বিক্রিয়া বলা হয়, এতে শর্করার সঙ্গে প্রোটিনের কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড উপজাত শক্ত ও অপরিবর্তনীয় বন্ধন তৈরি করে। ফলে প্রোটিন হজমকারী এনজাইম এখানে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

ট্রাক্টর দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে চেপে পলিথিন দিয়ে ভালো করে বায়ুরুদ্ধ করে বেঁধে রাখলে লিটারের অক্সিজেনের পরিমাণ সীমিত থাকে। এ ভাবে ফার্মেন্ট করার সময় পোল্ট্রি লিটার খুব বেশি গরম হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পোল্ট্রি লিটার এভাবে ফার্মেন্ট করলে পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে।  গুণমানে সামান্য ক্ষতি হয়।

ডিপ স্টকের পদ্ধতি

পোল্ট্রি লিটার স্তূপ করে রাখার জন্য সাধারণ যেসব স্টোরেজ কাঠামো ব্যবহার করা যেতে পারে 

একপাশ খোলা শস্যাধার, শস্য রাখার তিন কোণা শেড, ৬-মিলি পলিথিন দিয়ে বানানো ফ্রি-স্ট্যান্ডিং ক্ল্যাম্প সাইলো এবং বাতিল গাড়ির টায়ার দিয়ে চাপ দিয়ে রাখা এবং বাঙ্কার বা ট্রেঞ্চ সাইলো ইত্যাদি পদ্ধতিতে লিটার ফার্মেন্ট করা যেতে পারে।

তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে আগুন লেগে যাওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য, পোল্ট্রি লিটার ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উঁচুতে স্তূপাকার না করাই ভালো। কারণ এভাবে উঁচুতে রাখতে গিয়ে কাঠ বা অন্যান্য দাহ্য পদার্থের কাঠামোর উপর রাখতে হয়।

ফরেন বডি বা অপ্রত্যাশিত বস্তু

হাঁস-মুরগির বর্জ্য বা লিটার কোনো ধাতু, কাচ, পাথর এবং অন্যান্য ফরেন বডি মুক্ত হওয়া উচিত। পোল্ট্রি খামার থেকে লিটার অপসারণ, লোডিং এবং পরিবহনের সময় এই উপকরণগুলো সাধারণত লিটারের মধ্যে মিশে যেতে পারে। এ ধরনের বস্তু মিশ্রিত হওয়া এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ধাতব বস্তু বা কাচের টুকরার কারণে কোনো দু্ঘটনা ঘটে গেলে গরুর উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাবে, এমনকি মারাও যেতে পারে।

পোল্ট্রি লিটারে প্রায়ই উচ্চ মাত্রার ছাই (অ্যাশ) থাকে। ছাই অজৈব খনিজ পদার্থ দ্বারা গঠিত। পোল্ট্রি লিটারে উচ্চ স্তরের ছাই সাধারণত মাটি এবং নুড়ির দূষণের কারণে ঘটে। ছাইয়ের মাত্রা ২৮ শতাংশের বেশি হলে গবাদিপশুকে পোল্ট্রি লিটার খাওয়ানো উচিত নয়। 

পোল্ট্রি লিটারে প্রচুর পরিমাণে মাটি এবং নুড়ি রুমেন বা অ্যাবোমাসামের ক্ষতি করতে পারে। 

প্যাথোজেন

বেশ কিছু প্যাথোজেনিক (রোগজীবাণু) জীব যেমন: সালমোনেলা টাইফিমুরিয়াম, এসচেরিচিয়া কোলি, বা ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম পোল্ট্রি লিটারে থাকতে পারে। এই প্যাথোজেনের উপস্থিতি সাধারণত পোল্ট্রি লিটারে পশুপাখির মৃতদেহ মিশে যাওয়ার ফলে হয়। 

৭.২ এবং ৮.৬ এর মধ্যে pH সহ মুরগির লিটার এবং ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হলে প্রায় ৫ দিনের মধ্যে সি. বোটুলিনাম টক্সিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। 

পোল্ট্রি লিটারকে ১৪০ ডিগ্রিতে ৫ দিনের জন্য গরম করলে লিটারের সঙ্গে থাকা অন্যান্য রোগজীবাণু মারা যাবে। 

প্যাথোজেনিক জীবাণু ধ্বংস করা নিশ্চিত করতে, পোল্ট্রি লিটার কমপক্ষে ২১ দিনের জন্য স্টক বা স্তুপ করে রাখা উচিত। উপরে স্টক করার নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে।

মাইকোটক্সিন যেমন: আলফ্ল্যাটক্সিন, পোল্ট্রি লিটারে কোন সমস্যা নয়, কারণ এর pH সাধারণত মোল্ড বা ছত্রাক বৃদ্ধির জন্য বেশ প্রতিকূল। তবে অন্যান্য জৈব উপজাত সমস্যা তৈরি করতে পারে। 

গবাদিপশুর মধ্যে হার্ট ফেইলিওর দেখা গেছে যারা খুব বেশি মাত্রার পোল্ট্রি লিটার (প্রতিদিন মাথা প্রতি ২২ পাউন্ড) দেন এবং খুব অল্প বা একেবারেই খড় দেন না অথবা চারণভূমিতে ছাড়েন না। হার্ট ফেইলিউর মূলত পোল্ট্রি লিটারে উচ্চ মাত্রার কক্সিডোস্ট্যাট থাকা এবং ভিটামিন ই ও সেলেনিয়ামের অভাবের কারণে ঘটে।

পোল্ট্রি লিটারের পুষ্টিগুণ

পোল্ট্রি লিটারের পুষ্টির মান সময় এবং উৎসের মধ্যে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, পোল্ট্রি লিটারের মোট হজমযোগ্য পুষ্টির (TDN) মান আনুমানিক ৫০ শতাংশ এবং অপরিশোধিত (ক্রুড) প্রোটিন গড়ে ২১ থেকে ২৮ শতাংশ। 

ভুলভাবে ফার্মেন্ট করলে পোল্ট্রি লিটারে প্রোটিন ব্যাপকভাবে মেলার্ড বিক্রিয়ায় নষ্ট হতে পারে। এই বিক্রিয়া গরুর রুমেন এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রোটিনের প্রাপ্যতা হ্রাস করে। উপরন্তু, পোল্ট্রি লিটারে নাইট্রোজেনের বেশির ভাগই অ-প্রোটিন নাইট্রোজেন (ইউরিক অ্যাসিড, ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়া) আকারে থাকে এবং তাই সত্যিকারের প্রোটিনের চেয়ে পোল্ট্রি লিটার কম জৈব মূল্যের।

আর্দ্রতা

যদিও আর্দ্রতার মাত্রা পোল্ট্রি লিটারের পুষ্টির মানকে প্রভাবিত করে না, তবে বিভিন্ন কারণে প্রায় ২০ শতাংশ পানির পরিমাণ বাঞ্ছনীয়। 

স্টক করার সময় ২০ শতাংশের নিচে আর্দ্রতার মাত্রার হাঁস-মুরগির লিটারে পর্যাপ্ত তাপ উৎপন্ন হবে না। ফলে পুরোপুরি জীবাণু ধ্বংস হবে। লিটার প্যাথোজেনিক থেকে যাবে। ১০ শতাংশ বা তার কম আর্দ্রতার পোল্ট্রি লিটারের রেশনে অত্যধিক ধুলোবালি থাকে।

ভিটামিন এ

হাঁস-মুরগির লিটারে সাধারণত ভিটামিন এ কম থাকে। গরুর প্রতি পাউন্ড খাদ্যে ১,৫০০ আইইউ ভিটামিন এ গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য মুরগির লিটারের রেশনে ভিটামিন এ দিয়ে সাপ্লিমেন্টারি ব্যবহার করতে হবে।  সাপ্লিমেন্টারি খাদ্য হিসেবে উচ্চ-মানের ঘাস (অর্থাৎ, ১২ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত প্রোটিন এবং ৬০ শতাংশের বেশি TDN) বা মাঠে চরালে পোল্ট্রি লিটার-খাওয়া গবাদিপশুর প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।

ক্যালসিয়াম

বাছুর হওয়ার আগে হাঁস-মুরগির লিটার খাওয়ালে গাভীর দুধজ্বর হতে পারে, এটি পার্টুরিয়েন্ট প্যারেসিস বা হাইপোক্যালসেমিয়া নামেও পরিচিত। 

বাছুর হওয়ার ৩০ দিন আগে গর্ভবতী গাভীর খাদ্য থেকে মুরগির লিটার বাদ দিলে দুধ জ্বরের ঝুঁকি কমে যায়। গাভী যেগুলো গর্ভাবস্থার শেষের দিকে বা দুধ দোহনের সময় সময় হাঁস-মুরগির লিটার খায় সেগুলোর দুধজ্বরের সমস্যা ঘন ঘন দেখা যায়। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- পেশী শক্ত হওয়া এবং কাঁপুনি, চরম দুর্বলতা এবং চেতনা হ্রাস।

তামা

পোল্ট্রি লিটারে সাধারণত তামা বেশি থাকে। অতিরিক্ত তামা লিটার খাওয়ানো গবাদিপশুর লিভারে জমা হতে থাকে এবং এর ফলে সম্ভাব্য মারাত্মক বিষক্রিয়া দেখা দেয়। এর লক্ষণগুলো হলো: জন্ডিস এবং রক্ত অত্যন্ত গাঢ় হওয়া।

একটি প্রাপ্তবয়স্ক বকনা গরুকে ১২০ দিনের জন্য ৬০০ পিপিএম কপার খাওয়ানো যেতে পারে। তামার বিষাক্ততা রোধ করতে, পোল্ট্রি লিটার শুধু অল্প সময়ের জন্য গরুকে খাওয়াতে হবে।

পোল্ট্রি লিটার খাওয়ানোর মধ্যে পর্যায়ক্রমে বিরতি দিয়ে  লিভার থেকে অতিরিক্ত তামা পরিষ্কার হয়ে যাবে। 

তামার বিষক্রিয়ার ঝুঁকি এড়াতে টানা ১৮০ দিন পর্যন্ত পোল্ট্রি লিটার স্টকার গবাদিপশুকে খাওয়ানো যেতে পারে। 

তবে পোল্ট্রি লিটার ভেড়াকে খাওয়ানো উচিত নয় কারণ। ছাগল-ভেড়া প্রজাতির পশু তামার বিষক্রিয়ার  ক্ষেত্রে উচ্চ সংবেদনশীলতা দেখায়।

রেশন

পোল্ট্রি লিটার যথেষ্ট ক্যালরির উৎস হতে পারে। সঙ্গে সম্পূরক খাদ্য দিতে হবে। একটি সহজ সম্পূরক হতে পারে ভুট্টা।

পোল্ট্রি লিটার রেশনের সাধারণ নির্দেশিকা হলো: শুকনো খাদ্যের মধ্যে এবং ড্রাই পিরিয়ডে থাকা গাভীকে ১০ থেকে ২০ শতাংশ, দুগ্ধবতী গাভীকে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ এবং মোটাতাজার জন্য রাখা বাছুরকে ৫০ শতাংশ ভুট্টা দিতে হবে। 

ভুট্টা যোগ করলে পোল্ট্রি লিটার রেশনের স্বাদ এবং ভক্ষণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। পোল্ট্রি লিটারের রেশনে যোগ করা ভুট্টা এর খাদ্যমান উন্নত করে।

মুরগির লিটার-ভুট্টার রেশন ভিটামিন এ এবং উচ্চ থেকে মাঝারি মানের ঘাসের সঙ্গে সম্পূরক হিসেবে দেওয়া উচিত। পোল্ট্রি লিটার রেশনে বোভাটেক বা রুমেনসিন যোগ করা যেতে পারে যাতে ফিডের কার্যকারিতা বাড়ে।

Post a Comment

0 Comments