নানা কারণে গরুর বাছুরের পাতলা পায়খানা হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো অতিরিক্ত দুধ খেয়ে ফেলা। এছাড়া গরু রাখার স্থান নোংরা হলে বা নোংরা জিনিস খেয়ে ফেললে অথবা ডায়রিয়ার জীবাণু বহন করছে এরকম বস্তু অথবা তরল খেয়ে ফেললে বাছুরের পাতলা পায়খানা হতে পারে।
দেখা যায় বাছুরের জন্মের ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। পায়খানার রঙ হয় হলদে। বাছুরের চঞ্চলতা বন্ধ হয়ে যায়। আর দৌড়ঝাঁপ করে না। কোনো ব্যবস্থা না নিলে ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে যায়। বেশি পায়খানা করলে এবং কোনো চিকিৎসা না পেলে ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) হয়ে বাছুর মারা যেতে পারে।
চিকিৎসা
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে৷ মোটা সিরিঞ্জ অথবা বাঁশের চোঙ দিয়ে স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে। আর এ সময়ে অবশ্যই স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ দুধ খাওয়াতে হবে ৷
তিন দিনের মধ্যে পাতলা পায়খানা বন্ধ না হলে সালফোনামাইড জাতের ঔষধ যেমন- স্ট্রেপটোসালফা অথবা স্ট্রিনামাইড অথবা স্ট্রিনাসিন নাসিন অথবা ট্রিমাভেট অথবা ট্রাইসালফা অথবা ট্রাইসালফোন এস এর যেকোনো একটি প্রতি ৩৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ বোলাস হারে খাওয়াতে হবে ৷
বেশি দুর্বল হয়ে পড়লে প্রয়োজনে গলার শিরায় ০.ঌ% সাধারণ স্যালাইন অথবা কলেরা স্যালাইন এবং মালটি-ভিটামিন যেমন- বিকোনেক্স অথবা সানক্যাল ভেট অথবা বায়োনাল ফোর্ট অথবা ভিটাটনিক এর যেকোনো একটি ইনজেকশন দিতে হবে ৷
আরো পড়ুন:
গর্ভবতী গাভীর যত্ন ও প্রসবকালীন সতর্কতা
জন্ম থেকে দুধ ছাড়া পর্যন্ত বাছুরের যত্ন
গরু ছাগল হাঁস মুরগির শীতকালীন রোগ ও চিকিৎসা
0 Comments