সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

ডিম ও মাংসের জন্য হাঁস পালন গাইড | পিডিএফ বই

আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস পালন গাইড

হাঁস পালন এখন মুরগির চেয়ে লাভজনক লাইভস্টকে পরিণত হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ হাঁস পালন করা হয় হাওড় অঞ্চলে। সেখানে বড় বড় হাঁসের দল উন্মুক্তভাবে পালন করা হয়। অবশ্য এখন আধুনিক প্রযুক্তিতে পানি বা জলাশয় ছাড়াও হাঁস পালন করা যায়। 

মুরগির চেয়ে হাঁসের খামার করা বেশি লাভজনক হওয়ার একটি বড় কারণ হলো একই হাঁস ডিম ও মাংস উভয় উদ্দেশে পালন করা যায়। বাজারে হাঁসের ডিমের দাম যেমন বেশি মাংসের জন্য হাঁসের দামও বেশি। তাছাড়া হাঁস পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে বায়োসিকিউরিটি বাবদ খরচ কম। কারণ হাঁসের রোগবালাই কম হয়। 

হাঁসের তেমন একটা রোগ-ব্যাধি হয় না । খামারি যদি একটু সচেতন হয়ে পরিচর্যা করে তাহলে খামারে রোগ-ব্যাধির পরিমান একেবারেই থাকবে না। তবে খামারিকে অবশ্যই হাসের মারাত্নক দুটি রোগের টিকা দিতে হবে রোগ দুটি হলে- ডাক-প্লেগ ও ডাক কলেরা রোগ।

দেশে বর্তমানে ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জাতের হাঁস পালন করা হয়। আবার ডিম ও মাংস ‍উভয় উদ্দেশ্যেও কিছু জাত পালন করা হয়। এর মধ্যে মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয় পিকিং, রুয়েল ক্যায়ুগা, আয়লেশবারি,  মাসকোভি এবং সুইডেন হাঁস। এসব জাতের হাঁসার ওজন সর্বোচ্চ ৫ কেজি আর হাঁসির ওজন ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

ডিম উৎপাদনের জাতগুলো হলো: জিনডিং জাতের হাঁস ও ইন্ডিয়ান রানার হাঁস। ইন্ডিয়ান রানার হাঁস তিন রকমের হয়ে থাকে – সাদা, পাশুঁটে ও পিঠে দাগ কাটা থাকে পেনসিলের শিষের (গ্রাফাইট) মতো।

আর মাংস ও ডিম উভয় উৎপাদনের জন্য খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস সবচেয়ে জনপ্রিয়। মিসেস ক্যাম্পবেল ইন্ডিয়ান রানার ও রুয়েল ক্যায়ুগা হাঁসের শংকরায়নের মাধ্যমে এ জাত সৃষ্টি করেছেন বলে তার নামে এটির নামকরণ করা হয়েছে। এই শংকর জাতের হাঁসগুলো খাকি বা ছাই বাদামি রঙের হয়ে থাকে।

বাণিজ্যিকভাবে হাস পালন শুরুর আগে প্রাথমিক ধারণা পেতে নিচের বইটি পড়া যেতে পারে:

Post a Comment

0 Comments