সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ব্রয়লার মুরগি পালন গাইড

ব্রয়লার মুরগি পালন গাইড বাংলা বই

বাংলাদেশে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগিই সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান মেশানো, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারসহ নানা নেতিবাচক প্রচার প্রচারণার কারণে ইদানীং পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি এবং খামারে পালন করা দেশী মুরগির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ব্রয়লার এখন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তের আমিষের উৎস বলা হয়। যদিও হোটেল রেস্টুরেন্টে গ্রিল বা দামি রেস্টুরেন্টের চিকেন ফ্রাই তৈরিতে ব্রয়লার কোনো বিকল্প এখনো বের হয়নি।

দেশে ব্রয়লার মুরগি পালনে খামারিরা অস্বাভাবিক কম সময় দেন। এতে করে মাংসের স্বাদ কিছুটা কম হয়। অবশ্য এখানে সাধারণ মানুষের পছন্দ ও সামর্থ্যের ব্যাপারও রয়েছে। কারণ দেশে সাধারণত দুই কেজির বেশি ওজনের ব্রয়লার কেউ কিনতে চায় না।

আমাদের দেশের খামারিরা ব্রয়লার মুরগি বিক্রিযোগ্য করতে সর্বোচ্চ ৪২ দিন সময় দেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা ব্রয়লার মুরগি তিন মাস বা ১০৫ দিন ধরে বড় করার পরামর্শ দেন। তাতে মুরগির মাংসের স্বাদ ঠিক থাকে।

কিন্তু খামারিরা বলেন, ওতো দিন রাখলে মুরগির ওজন ৩/৪ কেজি হয়। এতো ওজনের মুরগির ক্রেতা বাংলাদেশে কম। সে কারণেই তারা ৩০/৩২ দিন লালন পালন করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী এক বা দেড় কেজি ওজন হলেই বিক্রি করে দেন।

তাছাড়া গ্রিলের জন্য ছোটো ব্রয়লারের চাহিদা বেশি থাকে। সেজন্য খামারিরা ২৮/৩০ দিনে বিক্রি করে দেন।

যাই হোক, সঠিক নিয়ম মেনে লালন পালন করলে ব্রয়লার মুরগির খামার এখনো লাভজনক হতে পারে। এই মুরগির খাবারের পেছনেই ৬০-৭০% খরচ হয়ে যায়। বাদবাকি ওষুধপত্র, বাসস্থান ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বাবদ খরচ। সঠিক মাত্রায় খাবার সরবরাহ করা গেলে মুরগি দ্রুত বড় হয়। ব্রয়লারের প্রজেক্ট এক মাস করে নেয়াই উত্তম। মুরগি আসবে একমাস পরে বিক্রি করে আবার নতুন বাচ্চা তোলা হবে। এই প্রক্রিয়ায় খামার করলে রোগ-বালাই এবং খাদ্য ব্যয় সংশ্লিষ্ট লোকসান এড়ানো সম্ভব। 

ব্রয়লারের খামার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণ পেতে নিচের বইটি পড়া যেতে পারে:

Post a Comment

0 Comments