সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

ছাদ বাগানের জন্য সেরা ৫ জৈব কীটনাশক

প্রাকৃতিক বালাইনাশক
যারা শখের খামারি, বাড়ির পাশে এক টুকরো জমিতে বা ছাদে সবজি ও ফলমূল চাষ করেন তাদের সম্পূর্ণ অর্গানিক বা জৈব পদ্ধতি অবলম্বন করাই ভালো। জৈব সার থেকে শুরু করে জৈব কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার করলে ছোট খামারিদের খরচ কমে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা হয়। তাছাড়া বাড়ির পাশে বা ছাদের বাগানে আপনার পরিবারের সদস্য ও শিশুদের যাতায়াত নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই রাসায়নিক কীটনাশক পরিহার করতে হবে। আর এসব জৈব সার ও কীটনাশক চাইলে বাড়িতেই নামমাত্র খরচে বানানো সম্ভব। নিচে এরকম কয়েকটি জৈব বালাইনাশক তৈরির পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:

নিম পাতা
ভারতীয় উপমহাদেশে অতি প্রাচীনকাল থেকেই নিমের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। এটি দারুণ ওষুধি গুণসম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। পোকামাকড় তাড়াতেও নিমপাতার জুড়ি নেই। নিমের তিতা স্বাদ ও তীব্র গন্ধের কারণে অনেক পোকামাকড় এর আশেপাশে ভিড়ে না। কিন্তু এটি পশু, পাখি, গাছপালা ও মানুষের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়। চারা গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিহত করতে নিম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। নিম তেল একবার স্প্রে করলে প্রায় ২২ দিন এর কাযকারিতা থাকে। একটি ছোট পাত্রে নিম তেল, লিকুইড সোপ বা বাসন ধোয়ার তরল সাবানের সঙ্গে কুসুম গরম পানি ভালোভাবে মেশাতে হবে। মিশ্রণ তৈরির পরপরই স্প্রে করতে হবে।

লবণ স্প্রে
লবণ স্প্রে হলো অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক বালাইনাশক। এটি শুধু পোকামাকড়কেই দূরে রাখে না, লবণ পানি স্প্রে করলে উদ্ভিদের খনিজ লবণ শোষণ ক্ষমতাও বাড়ে। যেমন: উদ্ভিদের ম্যাগনেশিয়াম শোষণ করার শক্তি বাড়ে, এছাড়া ফসফরাস ও সালফার গ্রহণ ক্ষমতাও বাড়ে। পানিতে সামান্য তরল সাবান গুলে স্প্রে করলেই এ কাজটি আপনি করতে পারেন। গাছের গোড়ায় প্রতি সপ্তাহে একবার এক চিমটি লবণ ছিটিয়ে দিলেও উপকার পাওয়া যায়।

পেঁয়াজ ও রসুনের স্প্রে
বড় দেখে এক কোয়া রসুন এবং মাঝারি সাইজের একটি পেঁয়াজ নিয়ে তা সামান্য পানিতে রেখে দিন। এরপর এর সঙ্গে শুকনো ঝাল মরিচ ও সামান্য লিকুইড সোপ মিশ্রিত করুন। এবার এটি আপনার বাগানে সরাসরি গাছের উপর স্প্রে করুন। নিয়মিত এ মিশ্রণটি স্প্রে করলে আপনার বাগানে কোনো পোকামাকড় ভিড়বে না। মূলত পেঁয়াজ ও রসুনের তীব্র গন্ধের কারণে পোকামাকড় দূরে থাকে।

ইউক্যালিপটাস তেল
এটি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এ তেলের তীব্র গন্ধ পোকামাকড়কে বাগান থেকে দূরে রাখে। সরাসরি গাছের ওপর এ তেল স্প্রে করতে হবে। অবশ্যই নিয়মিত স্প্রে করতে হবে তা না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন না।

চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চা
চন্দ্রমল্লিকা ফুলে রয়েছে পাইরেথ্রাম নামে একটি শক্তিশালী রাসায়নিক। এই রাসায়নিকটি পোকামাকড়ের নার্ভাস সিস্টেম (স্নায়ুতন্ত্র) বিকল করে দেয়। অর্থাৎ পোকামাকড় চলাচলের শক্তি হারিয়ে ফেলে বা প্যারালাইজড হয়ে যায়। চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চা তৈরি করা খুব সহজ। ছোট একটা পাতিলে পানি নিয়ে তাতে শুকনো চন্দ্রমল্লিকা ফুল দিয়ে ২০ মিনিট ফুটাতে হবে। এরপর এটি ছেঁকে ঠান্ডা করে গাছে স্প্রে করুন। এ চা আপনি দুই মাস পযন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। এটিকে আরো কাযকরী করে তুলতে সামান্য নিম তেল মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments