সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

ফসল রক্ষায় প্রাকৃতিক বেড়া ঢোল কলমি

প্রাকৃতিক বেড়া ঢোল কলমি
ঢোল কলমি
গ্রামের রাস্তার ধারে, বাড়ির পাশে, মাঠে-ঘাটে, জলাশয় ও খাল-বিলের পাড়ে সর্বত্রই চোখে পড়ে ঢোল কলমি। স্থানীয়ভাবে এটিকে অনেক এলাকায় নটকলমিও বলে। এর আরেক নাম দারুকলমি। ঢোল কলমি দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং পানিতে মরে যায় না। এটি ছড়িয়েও যায় দ্রুত। বীজের পাশাপাশি কাণ্ডের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

ঢোলকলমির ফুল যেকোনো বয়সী মানুষের নজর কাড়বে। পাঁচটি হালকা বেগুনি পাপড়ির ফুল দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। সারা বছরই ঢোল কলমির ফুল ফোটে। তবে বর্ষার শেষে শরৎ থেকে শীতে ঢোলকলমি ফুল বেশি দেখা যায়। একটি মঞ্জুরিতে চার থেকে আটটি ফুল থাকে। ফুলে মধুর জন্য কালো ভোমরা আসে।

ঢোলকলমি ফুল দেখতে আকর্ষণীয়। এ কারণেই আদি বাসভূমি সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার পেরু ও বলিভিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে স্প্যানিশ পাদরি সাহেবেরা সপ্তদশ শতকে হিমালয়ের কাশ্মীর ও কাংড়া উপত্যকায় গির্জার বাগানে লাগানোর জন্য নিয়ে আসেন। ধারণা করা হয়, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভারতবর্ষে। এখন এটি আগাছা হিসেবেই আমাদের দেশে পরিচিতি পেয়েছে।

ঢোল কলমি গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম 'ইপোমোয়া কার্নিয়া' ইংরেজিতে বলা হয় গোলাপী সকালের মহিমা। এর কান্ড দিয়ে কাগজ তৈরি করা যায়। সবুজ পাতার গাছটি ছয় থেকে দশ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে।

এ গাছ অল্পদিনের মধ্যেই ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়। এ গাছ জমির ক্ষয়রোধ করে ও সুন্দর ফুল দেয়। দেশের গ্রামাঞ্চলে এই গাছ জমির বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে।

ঢোল কলমির বীজ ও পাতায় বিষাক্ত উপাদান থাকে। এবং তেতো স্বাদের সাদা কষ থাকায় এর পাতা গরু ছাগল খায় না। তাই বেড়া হিসেবে এটা ব্যবহারের চাহিদা বেশি। ঢোল কলমি খরা ও বন্যায় সহনীয় বলে প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। সহজেই মারা যায় না এবং লবণাক্ত পরিবেশে বংশবৃদ্ধি করে।

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক বেড়া হিসেবে পরিচিত এই ঢোল কলমির নানা ঔষধি গুণ রয়েছে।

ঢোল কলমি গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ipomoea Carnea। ইংরেজিতে বলা হয় Pink Morning Glory। এর কান্ড দিয়ে কাগজ তৈরি করা যায়। সবুজ পাতার গাছটি ছয় থেকে দশ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে।

হাওড়ে কিংবা বিশাল ফসলের মাঠে ঢোল কলমি জন্মে পাখির বসার জায়গা করে দেয়। এ গাছে বসে পাখি পোকামাকড় খায়। ফুলের মধু সংগ্রহ করতে কালো ভোমরার আনাগোনা দেথা যায়। গ্রামের শিশুরা ঢোলকলমির ফুল দিয়ে খেলা করে।

Post a Comment

0 Comments