সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

ইলিশের বিকল্প মিল্কফিশের চাষ হচ্ছে ভারতে

ভারতের চাষ হচ্ছে ইলিশের বিকল্প মিল্কফিশের চাষ
মিল্কফিশ বা চ্যানস মাছ
এপার থেকে না গেলে কলকাতার বাঙালীদের পাতে ওঠে না সাধের ইলিশ। বাংলাদেশ সরকারও নাছোরবান্দা। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে মনকষাকষির জের সেই সঙ্গে দেশে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ও নিজস্ব চাহিদা মেটানোর কথা বলে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছে সরকার। এ নিয়ে দুইপারে অনেক জল গড়িয়েছে। এহেন বাংলাদেশ নির্ভরতা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকার। তারা এবার ইলিশের বিকল্প মাছের সন্ধানে নেমেছে! কী সেই মাছ যা স্বাদে সুবাসে পদ্মার ইলিশের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে? এ নিয়ে সামান্য আলোচনা-

অবিকল ইলিশের স্বাদের ‘মিল্ক ফিশ’‌ এবার সারা বছর কলকাতার বাঙালির পাতে তুলে দিতে চলেছেন ভারত অংশের সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। ২০১৫ সাল থেকে সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে রাজ্যের উপকূলের পুকুরে এ মাছের চাষ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের সমুদ্রে আগেই এই মিল্ক ফিশ বা চ্যানস মাছের সন্ধান মিলেছিল। পরে কেন্দ্রীয় নোনা জীবপালন ও অনুসন্ধান সংস্থার (‌সিবা)‌ কাকদ্বীপ শাখা এই মাছের  পোনা বিতরণ করে এলাকার কয়েকজন মৎস্যজীবীকে। তখন থেকে সুন্দরবনের নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ এলাকার পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে ফিলিপাইনের এই জাতীয় মাছের।

বাংলার কৃষকদের ‍উদ্ভাবিত নানা নিড়ানী যন্ত্র #

২০১৮ সালের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গের পাথরপ্রতিমার শিবগোবিন্দপুরের মৎস্যচাষিদের কৃত্রিম প্রজননে উৎপাদিত চ্যানস মাছের পোনা দেন কাকদ্বীপ গবেষণাকেন্দ্রের মৎস্য বিজ্ঞানীরা। দেখা গেছে, চয় মাসের মাছের গড় ওজন হয়েছে ৪০০ গ্রামের বেশি। পাইকারি বাজারে এই মাছ বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। চাষের খরচের তুলনায় মাছচাষিদের লাভের পরিমাণও বেশ ভালো ছিল।

# বাংলাদেশের হারিয়ে যাওযা সেচযন্ত্র #

প্রচলিত মাছের চাষের সঙ্গে এই মাছের চাষ করা যায়। ‌‌ সুন্দরবনের মাছচাষিদের কাছে নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে এই মিল্কফিশ চাষে। ১ বিঘা পুকুরে ৬ মাসে মাছের জন্য খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে লাভ করা সম্ভব প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এই মাছের রোগবালাই কম হয়।

Post a Comment

0 Comments