সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

খামারিদের রুমিন্যান্ট আর ননরুমিন্যান্ট পশু চিনতে পারা জরুরি


হজম প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে পশুপ্রজাতিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয় : রুমিনেন্ট (রোমন্থক) এবং নন-রুমিনেন্ট (অরোমন্থক)।  রুমিনেন্ট প্রাণীরা অর্ধ-চর্বিত খাবার অবসর সময়ে উগড়ে মুখে এনে আবার চিবায় এবং লাল মিশ্রিত করে আবার গিলে ফেলে। এই প্রক্রিয়াকে বলে জাবর কাটা। অপরদিকে নন-রুমিন্যান্ট প্রাণীদের এই খাবার হজম প্রক্রিয়া খুবই সরল। গরু, ছাগল, ভেড়া রুমিন্যান্ট প্রজাতির মধ্যে পড়ে। আর মানুষসহ মাংসাশী ও সর্বভুক প্রাণীরা পড়ে নন-রুমিন্যান্ট প্রজাতির মধ্যে।
রুমিন্যান্ট প্রাণীদের পাকস্থলীর গঠন বেশ জটিল। চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে। এগুলোকে বলে : রুমেন, রেটিকুলাম, ওমাসাম এবং অ্যাবোমাসামস। চারটি প্রকোষ্ঠের মধ্যে সবচেয়ে বড় রুমেন। এটি মূলত খাবারের স্টোর (গুদাম) হিসেবে কাজ করে। একটি রুমেনে ২৫ গ্যালন পযর্ন্ত খাবার ধরে অথচ এটির উপরিপৃষ্ঠ তেমন একটা প্রসারিত হয় না। রুমেনে প্রচুর পরিমানে গাঁজনকারী ব্যাকটেরিয়া (fermentative bacteria) থাকে। এসব ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিড শোষণ করে ফার্মান্টেশন প্রক্রিয়া দ্রুততর করে।
রেটিকুলামের গঠন অনেকটা থলির মতো। এটি পাকস্থলীর খাবার খাদ্যনালী দিয়ে ঠেলে আবার মুখে নিয়ে যায়। ওম্যাসামের আকার গোলকের মতো। এটির কাজ মূলত পানি শোষণ করা। এই প্রকোষ্ঠ রুমিন্যান্ট প্রাণীর পাকস্থলীকে ভেজা রাখতে সাহায্য করে। অ্যাবোম্যাসাম প্রকোষ্ঠটি গ্রন্থিময় নালীর মতো। এই প্রকোষ্ঠটি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং হজমি রস নিৎসরণ করে যা হজমে সহায়তা করে।
একের পর এক প্রকোষ্ঠে গিয়ে খাবার হজম হয়। কিন্তু নন-রুমিন্যান্ট প্রাণীর পাকস্থলীর প্রকোষ্ঠ একটিই এবং একেবারে সরল। দুই ধরনের প্রাণীর মধ্যে প্রধান মিল হলো : ক. উভয়েরই একটি প্রত্যক্ষ হজম প্রক্রিয়া আছে খ. উভয়েই শুকনো খাবার খায়।
রোমন্থক বনাম অরোমন্থক প্রাণী
(Ruminant vs Non-Ruminant Animals)
পাকস্থলীর গঠন জটিল। চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে। খাবার চারবারে প্রক্রিয়াজাত হয়।এসব প্রাণী খাবার উগড়ে চিবিয়ে, লালা মিশ্রিত করে আবার গিলে ফেলে। একে বলে জাবর কাটা।
পাকস্থলীর গঠন সরল। একটি মাত্র প্রকোষ্ঠ থাকে।একটি ধাপে খাবার প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে হজম হয়।
পাকস্থলীর গঠন
পাকস্থলী চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট হয়। এগুলোকে বলে : রুমেন, রেটিকুলাম, ওমাসাম এবং অ্যাবোমাসামস।
পাকস্থলীর একটিমাত্র প্রকোষ্ঠ থাকে।
বিপরীত সঙ্কোচন
পেটের ভেতর থেকে খাবার উগড়ে বের করে।
কখনোই এমন করে না
পুষ্টির ধরন
এরা পুষ্টি গ্রহণ করে সাধারণত আগাছা বা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ থেকে
এরা শাকাহারি, মাংসাশী কিংবা সর্বভুক হতে পারে
উদাহরণ
গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি
মানুষ, কুকুর, খরগোশ, ঘোড়া, শুকর



রুমিন্যান্ট পশু
নন-রুমিন্যান্ট প্রাণী


Post a Comment

0 Comments